hiv এর লক্ষণ সমূহ এই আর্টিকেল দ্বারা আপনি যা জানতে পারবেন তা হল, যে ভাইরাস জীবাণু দ্বারা এই রোগ সৃষ্টি হয় তাকে Human Immounodeficiency Virus সংক্ষেপে H.I.V. বলা হয়।
মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারানোর জন্য দায়ী ভাইরাসকে H.I.V. (এইচ, আই,ভি) বলা হয়। তেমনিভাবে ইংরেজী AIDS (এইট্স) শব্দটি Acquired Immune Deficiency Syndrome (একোয়ার্ড ইমিউন ডিফিশনসি সিনড্রম) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এর অর্থ- শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারানোর আলামত বা লক্ষণ। hiv এর লক্ষণ সমূহ এর উপর ভিত্তি করে , এ রোগের কোন চিকিৎসা এখনও আবিস্কার হয়নি।
H.I.V. (এইচ, আই, ভি) ভাইরাস জীবাণু রক্তের সাথে মিশে রক্তের শ্বেত কনিকাগুলোকে মেরে ফেলে। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস হয়ে যায়। যার দরুন বিভিন্ন রকম উপসর্গ বা রোগের আলামত দেখা দেয়। ফলে যে কোন সাধারণ রোগেই এইট্স আক্রান্ত ব্যক্তি মারা যেতে পারে এবং মারা যায়।
hiv এর লক্ষণ সমূহ
এইচ, আই, ভি/এইট্স সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে অধিকাংশ রোগীর কোন লক্ষণ বা উপসর্গ থাকে না। এ ভাইরাসটি দেহের কোষে দ্রুত বিস্তার লাভ করার ফলে কিছুদিন পর যেসব উপসর্গ দেখা দেয় তার মধ্য থেকে কিছু হল:
১. অস্বাভাবিকভাবে দেহের ওজন কমতে থাকা, দু’মাসের মধ্যে এক দশমাংশের বেশি হ্রাস পাওয়া;
২. এক মাসের বেশি সময় ধরে সর্বক্ষণ কিংবা থেমে থেমে জ্বর থাকা;
৩. এক মাসের বেশি সময় ধরে ডায়রিয়া থাকা;
৪. এক মাসের বেশি সময় ধরে ক্রমাগত কাশি হওয়া;
৫. ফুসফুসে ঘা বা সংক্রমণ হওয়া;
৬. সারা শরীরে চুলকানি হওয়া;
৭. ত্বকে সংক্রমণ সহ Kapasis Sarcoma নামক কঠিন চর্মরোগ হওয়া;
৮. বার বার মুখে, জিহ্বায় কিংবা গলায় চক্রাকার সংক্রমণ (Candidiasis) হওয়া;
৯. বগলের নিচে ও রানের মাঝখান সহ সারা দেহের লসিকা গ্রন্থি (Iymph Nodes) ফুলে যাওয়া;
১০. শরীর ক্রমশ শুকিয়ে গিয়ে কাঁপতে থাকা; ইত্যাদি।
hiv এর ভয়াবহতা
এইট্স একবার হলে আর বাঁচার আশা নেই। কারণ এ পর্যন্ত এর কোন চিকিৎসা আবিস্কার হয়নি। ২/৪ বছরের মধ্যেই ধুকে ধুকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
এইট্স জীবাণু কোথায় থাকে
১. মানুষের বীর্যে (মনী) ২. বীর্যপাতের আগে নির্গত পিচ্ছিল রসে (মযী) ৩. যোনি নিঃসৃত রসে
৪. মানুষের রক্তে ৫. মায়ের বুকের দুধে ৬. প্রস্রাবে
৭. অশ্রুতে ৮. ও মুখের লালাতে
তবে শেষ তিন প্রকারে এইট্স জীবাণু খুবই কম থাকে যা রোগ সংক্রমণ ঘটাতে পারে না।
এইডস কিভাবে ছড়ায়
১. পুরুষে পুরুষে যৌনমিলনে ২. নারীর সাথে নারীর যৌন মিলনে ৩. স্বামী পর নারীর সাথে দৈহিক মিলন করলে
৪. স্ত্রী পর পুরুষের সাথে দৈহিক মিলন করলে ৫. পিতা-মাতার মাধ্যমে অর্থাৎ পিতা-মাতার মধ্যে এইডস এর লক্ষন সমূহ থাকলে থাকলে তা তাদের সন্তানদের মধ্যে সংক্রমিত হয়।
৬. সংক্রমিত ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ বা যন্ত্রপাতির মাধ্যমে (অর্থাৎ একই সিরিঞ্জ একাধিক ব্যক্তি ব্যবহার করলে একজন থেকে অপরের মধ্যে সংক্রমিত হয়।
৭. সংক্রমিত রক্তের মাধ্যমে (অর্থাৎ এইট্স আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত গ্রহণের মাধ্যমে)
৮. মদ সেবনের মাধ্যমে। মাদক সেবীরা সাধারণত উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপন করে থাকে। মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা অবাধ যৌনাচারে গা ভাসিয়ে দিয়ে থাকে তাই তাদের এইচ, আই, ভি (HIV) তে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।
৯. পতিতালয়ের মাধ্যমে। অর্থাৎ পতিতালয়ে যাতায়াত কারীদের মাধ্যমে এ মরণঘাতি রোগ ছড়িয়ে পাড়ে।
এইডস এর লক্ষন সমূহ প্রকাশ পাবে যা করলে
১. পতিতা
২. যৌনকর্মী
৩. বহুগামী পুরুষ
৪. বহুগামী নারী
৫. ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে মাদক দ্রব্য গ্রহণকারী ব্যক্তি
৬. সমকামী পুরুষ
৭. সমকামী নারী
৮. উচ্ছৃঙ্খল যৌন জীবনযাপনে অভ্যস্ত পুরুষ-নারী
এইট্স প্রতিরোধ AIDS PREVENTION
hiv এর লক্ষণ সমূহ জানার পরেও যেমনিভাবে এখন পর্যন্ত এইট্স রোগের কোন চিকিৎসা আবিস্কার হয়নি তেমনিভাবে এইডস থেকে মুক্ত থাকার জন্যও অদ্যাবধি কোন প্রতিষেধক টিকা আবিস্কার হয়নি। তাই এর প্রতিরোধই হচ্ছে একমাত্র প্রতিকার। অতএব, আল্লাহকে ভয় করে ড্রাগ বা মাদক ব্যবহার বন্ধ করে (No to drug), সমকামিতা (চাই পুরুষে পুরুষে হউক কিংবা নারী নারীর সাথে, বহুগামিতা, অবাধ যৌনাচার, অবৈধ যৌন মিলন বা ব্যভিচার পরিহার করে ইসলামী বিধি-বিধান ও অনুশাসন মেনে চললে এ অভিশপ্ত ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে। আল্লাহ পাক বলেন . عمل الشيطان فاجتنبوه لعلكم تفلحون (سورة مائدة آية: ٩٠) অর্থ- হে মুমিনগণ! মদ, জুয়া, প্রতিমা ও ভাগ্য নির্ধারক তীর সমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কাজ। অতএব এগুলো থেকে বেঁচে থাক, এতে করে তোমরা সফলকাম হবে। (সূরা মায়িদাহ, আয়াত: ৯০)
আল্লাহ পাক আরও বলেনঃ
ولا تقربوا الزنا إنه كان فاحشة وساء سبيلا (سورة بني إسرائيل، آية: (۳۲)
অর্থ- তোমরা ব্যভিচারের ধারে কাছেও যেও না। কারণ, এটি নিঃসন্দেহে সুস্পষ্ট অশ্লীলতা এবং মন্দ পথ। (সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত: ৩২)
সমকামিতার শাস্তি
فلما جاء امرنا جعلنا عاليها سافلها (سورة هود، آية: (۸۲)
অর্থ- অবশেষে যখন আমার হুকুম আসল তখন উক্ত জনপদের উপরকে নিচে করে দিলাম। (সূরা হূদ, আয়াত: ৮২) এর অর্থ এও হতে পারে যে, উক্ত জনপদকে উল্টে দিলাম। আবার এও হতে পারে যে, আমি পৃথিবীর উচ্চাঞ্চলকে নিম্নাঞ্চলে পরিণত করে দিলাম।
আল্লাহু আকবার! এ থেকে এক দিকে পবিত্র কুরআনের অলৌকিকতা প্রকাশ পায় যে, চৌদ্দশত বছর পূর্বে এমন এক ভৌগলিক বাস্তবতা সম্পর্কে আলোকপাত করেছে । যা বহু শতাব্দী পর ভূগোল বিশারদদের নিকট স্পষ্ট হয়েছে । এবং এমনভাবে তা উপস্থাপন করা হয়েছে যে, সে যুগের লোকদেরও এ বক্তব্যের সুস্পষ্ট অর্থ অনুধাবন করতে বিন্দুমাত্র জটিলতা দেখা দেয়নি।
অপরদিকে এ বিষয়টিও স্পষ্ট হয়ে যায় যে, উক্ত জাতির উপর আপতিত আযাবে ইলাহীর এ ঘটনা কেয়ামত পর্যন্ত দূরদর্শীদের জন্য শিক্ষার উপকরণ হয়ে থাকবে। জনপদ উল্টে গেছে। অধিবাসী নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। যুগের বিস্ময়রূপে একটি সাগর আত্মপ্রকাশ করেছে। আর অদ্যাবধি এ ভূমি বিশ্বের নিম্নতম ভূমি হয়ে আছে। আল্লাহ পাক বলেনঃ
অর্থ- হ্যাঁ, এ হল তাদের বাসস্থান, যা তাদের পরে আর আবাদ হয়নি তবে সামান্য। আর আমিই তার উত্তরাধিকারী ছিলাম। (সূরা কাছাছ, আয়াত: ৫৮)
সহস্র বছর পূর্বে হযরত লূত (আ.) এ ভূখন্ডে অবিচলতার পর্বতরূপে তার বেহাঙ্গাম জাতির সংশোধনের চেষ্টা চালিয়েছিলেন ।
যারা মানবতার মূল্যকে আঁচড়ে বিকৃত করে নিজেদের প্রকৃতিবিরুদ্ধ সমকামীতার কাজে সমগ্র বিশ্বে দূর্নাম কুড়িয়েছে।
এমনকি ঘৃণিত সে কাজের নামই ঐ জাতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে যায় ও এ কাজকে “লাওয়াতাত” বলা হয়। এমন মনে হয় যেন তাদের এ চারিত্রিক অধঃপতনকে কেয়ামত পর্যন্ত আগত মানুষের জন্য এখানে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য একটি রূপ দেয়া হয়েছে। তাই তাদের গোটা
বস্তীকে বিশ্বের সর্বনিম্ন অঞ্চলে পরিণত করে দেয়া হয়েছে।
এতে স্পষ্ট প্রতিয়মান হয় যে, এ কাজটি (সমকামীতা) কত ঘৃনিত ও নিম্নমানের। একমাত্র এ ঘৃণিত কাজটি পরিহার করার মাধ্যমেই বিশ্ববাসী মরণঘাতি এইট্স থেকে পরিত্রাণ পেতে পারে।